সেই ৩০০ বছর আগে থেকে শঙ্খবাণী মেলা বসে রামচন্দ্রপুরে। পঞ্জিকা মতে, বৈশাখের প্রথম মঙ্গল অথবা শনিবার বিরলের রামচন্দ্রপুরে বসে এ মেলা। বসেও এমন এক বটের ছায়ায় বয়স যার শতাধিক। অতি প্রাচীন এক কালো পাথরের মূর্তি আছে মেলার মাঠে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মূর্তিটিকে পূজা দেয়। সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মেলাপাগল মানুষ দলে দলে পথে নামে। আশপাশের লোকালয় থেকে তো আসেই; অন্যান্য জেলা থেকেও ভিড় জমায় মানুষজন। আশা পূর্ণ করার মেলা এটি।
মাঠের একপাশে একটি ছোট মন্দির, এটিই শঙ্খবাণীর। মানসী দিতে যারা এসেছে তাদের হাতে পাতায় মোড়ানো ধূপ-সিঁদুর। অনেকে ছোট ছোট রুপা বা স্বর্ণের পাদুকা নিয়ে এসেছে শঙ্খবাণীকে দেবে বলে। পূজারি ফগেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান, এক রাজা ছিলেন। একটি মাত্র মেয়ে তাঁর। অতি আদরের। নাম শঙ্খবাণী। একদিন প্রাসাদের পাশ দিয়ে এক শাঁখারি যাচ্ছিল। শঙ্খের শাঁখা দেখে মেয়ের মন উতলা হলো। কিনে ফেলল শখ করে। কিন্তু সে যে কুমারী! রটে গেল খবর। রাজা গেলেন রেগে। পারলে মারেন আর কি! শঙ্খবাণীর খুব মন খারাপ হলো। দিঘিতে ঝাঁপ দিয়ে মরল। এর কিছুদিন পরই নাকি দিঘিতে কালো পাথরের একটি মূর্তি ভেসে ওঠে। সেই থেকে এই পূজা শঙ্খবাণী। লোকরা বিশ্বাস করে শঙ্খবাণী মানত পুরা করেন।
সূত্র : শঙ্খবাণী মেলা
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS