মাধববাটির লিচুর খ্যাতি বিশ্বময়। এখানে প্রায় সহস্রাধিক বাগান আছে। লিচু সিজনে মাধববাটির এই বাগানগুলোতে সবুজ পাতার ধার বেয়ে ঝুলে থাকে লাল লাল লিচু। দেখতে একেবারে অন্যরকম। লিচু বাগানে থাকে ছোট্ট একটি মাচাঘর। সেখানে থাকে বাগান প্রহরীরা । লিচুর সময়ে প্রতিবছরই এরা কাজের জন্য চলে আসে অন্য জেলা থেকে। লিচুতে স্প্রে করা, বাদুর তাড়ানো, চোর পাহারা আর লিচু ভেঙ্গে ডালা তৈরিই তাদের কাজ। মাধববাটিতে লিচু বাগান বিক্রি চলে কয়েক পর্বে। মূল বাগানের মালিক ফুল ও মুকুল অবস্থায় বিক্রি করে বাগানটি। যারা কেনে তারা তিন থেকে চার মাস পরিচর্যা করে। ফলে পাক ধরলে এরা বাগান বিক্রি করে ঢাকার পার্টির কাছে। তারা আবার দশ থেকে বিশ দিনের মধ্যে লিচু ভেঙ্গে নিয়ে যায় ঢাকায়। কেউ কেউ আবার স্থানীয় পাইকারের কাছেই বিক্রি করে দেয় সব লিচু।
এখানকার পাকা লিচুগুলোকে অনেকটা স্ট্রবেরির মতো দেখায়। চায়না থ্রি আর বোম্বাই জাতের লিচুগুলো সাধারণ বাজারে খুব একটা দেখা যায় না। বাগান থেকেই বিশেষ প্রক্রিয়ায় চলে যায় রাজধানীর অবস্থাশালীদের বাড়িতে। কোন কোন সময়ে একটি লিচুর দাম নাকি ৮ থেকে ১২ টাকা হয়। দিনাজপুরের স্থানীয়দের পছন্দের লিচু মাদরাজী। এটি বেশ সুস্বাদু আর রসালো। মাধববাটির লিচু বাগানে লিচু ভাঙ্গা হয় সকাল-বিকাল। এ সময় বাগান এলাকার মানুষেরা ব্যস্ত থাকে নানা পেশায়। কেউ বাঁশের ঝুড়ি বানায়। কেউ দোকড়া (চট) আনে। কেউবা বাগানে বাগানে ঘুরে লিচুর ডালা সাজায়।
ছবি : সালেক খোকন
মাধববাটির লিচু বাগান নিয়ে দৈনিক কালেরকন্ঠে প্রকাশিত লিংক :
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS